নিট পরীক্ষায় বড় দুর্নীতি: এবছরের NEET পরীক্ষাটি আয়োজিত হয়েছিল গত ৫ মে। দেশ জুড়ে 4750 সেন্টারে মোট 24 লক্ষ পরীক্ষার্থীরা ডাক্তারির পরীক্ষায় বসে। 14 জুন পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা থাকলেও, আগেভাগেই 4 জুন ফল প্রকাশ করা হয়।
নিট পরীক্ষায় বড় দুর্নীতি
ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ফুল মার্কস অর্থাৎ 720 পেয়েছে 67 জন। এর মধ্যে 6 জন পরীক্ষার্থীই আবার একই সেন্টারের। তারা সকলেই হরিয়ানার ফরিদাবাদের সেন্টারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।এরপরই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেস নম্বর নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। যারা দ্বিতীয় স্থানাধিকারী, তারা 720 তে 719 পেয়েছেন।
এক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এই নম্বর পেল পরীক্ষার্থীরা। যদিও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে পরীক্ষার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রশ্ন সমাধান করতে গিয়ে যে অতিরিক্ত সময় খরচ হয়েছে পরীক্ষার্থীদের, তার জন্য গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছে। যদিও এই গ্রেস মার্কস কত দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কোনও স্বচ্ছতা নেই। দুর্নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন: Indian Post Payment Bank এ কর্মী নিয়োগ
এরইমধ্যে দিল্লিতে এক মহিলা দাবি করেন, তাঁর পরিচিত এক নিট পরীক্ষার্থী ফিজিক্সে 1 পেয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে, স্কুল থেকে প্রাকটিক্যালে 20 নম্বর দেওয়ায় 21 পেয়েছে। সেই ছাত্রীই আবার নিট পরীক্ষায় প্রথম দশে Rank করেছে। দুই পরীক্ষার ফলে কীভাবে আকাশ পাতাল তফাৎ, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এরকম বিস্তর অভিযোগ শোনা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
নিটে খারাপ ফলের পর যেখানে কোটার এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেখানেই এবার এই Rank বিভ্রাট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে গোটা দেশজুড়ে। নিট পরীক্ষার এই অস্বচ্ছতা নিয়েই হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিতর্ক তৈরি হতেই NTA ও শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে 4 সদস্যের কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় নিট সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে।
আরও পড়ুন: আর ঘুষ নিতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা
এরপরই আজ, ওই কমিটি সুপ্রিম কোর্টে জানায় যে 1563 জন পরীক্ষার্থী, যারা গ্রেস মার্কস পেয়েছেন, তাদের স্কোরবোর্ড বা মার্কশিট বাতিল করা হবে। যে পরীক্ষার্থীদের স্কোরকার্ড বাতিল করা হচ্ছে, তাদের আগামী 23 জুন ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। 30 জুন সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। যে পরীক্ষার্থীরা পুনরায় পরীক্ষায় বসতে রাজি নন, তাদের 5 মে-র পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের তরফে প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী কানু আগরওয়াল জানান, শুধুমাত্র যে প্রশ্নগুলি অ্যাটেমপ্ট করা হয়নি, অর্থাৎ উত্তর দেওয়া হয়নি, তার মধ্যেই গ্রেস মার্কস সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, নিট-ইউজি 2024-র কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ীই কাউন্সেলিং হবে।