তুরস্কের শুটার ইউসুফ ডিকেচ: এবারের প্যারিস অলিম্পিকে 10 মিটার এআর পিস্তলের মিক্সড ইভেন্টে ভারতের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন মনু ভাকের ও সবরজ্যোত সিং । যদিও এই ইভেন্টে ভারত সোনা জিততে পারেনি, সেটা জিতেছে সার্বিয়ার প্লেয়াররা। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে রুপো জয়ী তুরস্কের প্লেয়াররা।
এই সমস্ত প্লেয়ার গুলির মধ্যে পুরুষ দলের ইউসুফ ডিকেচ হলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থাকা সব থেকে বড় প্লেয়ার। তার এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কারণ হলো তিনি বেশ একটা অদ্ভুত ভঙ্গিতে এই স্যুট করে দেখিয়েছেন।
তিনি সামনে দাঁড়িয়ে বাঁ হাত পকেটে পুড়ে শুধুমাত্র ডান হাত দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে দেখিয়েছেন 51 বছর বয়সী ইউসুফ। কেননা শুটার রা সাধারণত অত্যাধুনিক চশমা এবং এয়ার প্লাক ব্যবহার করে ইভেন্টে নামেন, কিন্তু ইউসুফ এরকম কোন কিছুই না করে শুধুমাত্র সাদামাটা একটি চশমা পড়ে ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে তিনি স্যুট করে দেখিয়েছেন । এই কর্মকাণ্ডের জন্যই সাধারণত ইতিমধ্যেই ইউসুফ নিজ দুনিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু 2024 সালের প্যারিস অলিম্পিকে তুরস্ক সোনা জিততে পারেনি। সঙ্গী সেভাল ইলায়দা কে নিয়ে দেশকে রূপো জিতিয়ে দিয়েছেন ডিকেচ। এই হাড্ডাহাড্ডি 16-14 ম্যাচে সার্বিয়া খুব কম ব্যবধানে ম্যাচ জিতে যায়। কিন্তু ইভেন্টে যেই বা জিতুক মেয়ের দুনিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ইউসুফ।
এই ইউসুফ ডিকেচ কে নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার মিমি’স ও তৈরি হচ্ছে। একজন লিখেছেন, “তুরস্ক ৫১ বছর বয়সি এমন একজনকে পাঠিয়েছে যাঁর বিশেষ চশমা নেই, কানও ঢাকা নেই। তাতেও রুপো নিয়ে চলে গেল।” এটা তাঁর পঞ্চম অলিম্পিক। ২০০৮-র বেজিং অলিম্পিকে প্রথম নেমেছিলেন তিনি। যদিও এটা তাঁর প্রথম অলিম্পিক মেডেল। আর সেখানেই পদকের সঙ্গে মনও জিতে নিলেন ডিকেচ।