১৫০ বছরের যাত্রা শেষ: কলকাতায় বন্ধ হতে চলেছে ট্রাম পরিষেবা

১৫০ বছরের যাত্রা শেষ: কলকাতা হল ভারতবর্ষের তথা পশ্চিমবঙ্গের বুকে এমন একটি শহর, যেখানে লুকিয়ে আছে অনেক অনেক পুরনো ইতিহাস। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই শহরের বুকে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর রকমের আদি বস্তু। যেমন কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি, হাতে টানা রিক্সা,ট্রাম ইত্যাদি। কলকাতার বুকে এমনই এক ঐতিহ্যপূর্ণ বস্তুই হলো এই ট্রাম । এটা কলকাতার বুকে চালু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় 150 বছর আগে।

বলতে গেলে কলকাতা শহরে প্রায় প্রতিটা নাগরিকই নস্টালজিক হয়ে পড়ে ট্রামে চড়ে। কিন্তু এখন এই ট্রাম নিয়েই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটা বড় আপডেট সামনে এসেছে । যেটা কলকাতাবাসীর মনে খুব গভীর একটা ক্ষত ফেলতে পারে।

রাজ্য সরকার নাকি এবার হাইকোর্টে রাজ্যে ট্রাম ব্যবস্থা তুলে নেবার জন্য আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য সরকার এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করেছেন যে, ট্রাম লাইন এর জন্য বারংবার পথ দুর্ঘটনা হতেই থাকছে। তার জন্য এবার হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকার।। তার ফলে গোটা কলকাতা জুড়ে অবশেষে মাত্র 1টি রুটি ট্রাম চালানোর অনুমতি মিলেছে। এর আগে ওই শহরে 3টি রুটি, ট্রাম চলতো। এগুলি ছিল : টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট-ধর্মতলা, ধর্মতলা-শ্যামবাজার।

কিন্তু এবার থেকে শুধুমাত্র ওই 1টি রুটেই এই ট্রাম চলবে। এই রুটে ট্রাম চালানোর জন্য রাজ্যের পরিবহন দপ্তর কোর্টে আর্জি জানাতে চলেছে। জানা যাচ্ছে এক্সপ্লানেড এর থেকে খিদিরপুরের মধ্যে যে লাইন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সেই রুটেই হবে। এটিকে ‘জয় রাইড’ হিসেবে চালানো যেতে পারে। ট্রাম পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে বেশ মন খারাপ আমজনতার। কিন্তু মানুষের তুলনায় যানবাহন সংখ্যা বা রাস্তার সংখ্যা কম হওয়ার কারণে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করতে চাইছে পরিবহন দপ্তর।


রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা সমস্ত রুটে ট্রাম চালানোর পক্ষে। বিষয়টি সম্পর্কে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সাগ্নিক গুপ্ত বলেন, “পৃথিবীর বহু দেশে নতুন করে ট্রাম পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। কারণ, এত কম খরচে পরিবেশবান্ধব ও দূষণহীন যান মেলা সম্ভব নয়। অথচ আমাদের রাজ্য সরকার ট্রাম পরিষেবাটাই তুলে দিতে চাইছে।

বলা হচ্ছে, মন্থর গতির ট্রাম শহরের ট্র্যাফিক জ্যামের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” সঙ্গে আরো বলেন, “একটি ট্রামের দু’টি কামরা 120 জন মানুষকে পরিবহণ পরিষেবা দিতে পারে। অথচ সেই ট্রাম তুলে দিয়ে কুড়িটি অটো রাস্তায় নামিয়ে 120 জন মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একটি ট্রাম রাস্তায় বেশি যানজট করে, না কি কুড়িটি অটো যানজট করে? এমন প্রশ্ন প্রশাসন না বুঝুক, কলকাতার বাসিন্দারা নিশ্চয়ই জানেন।” উল্লেখ্য যে, এসপ্ল্যানেড থেকে খিদিরপুর ট্রাম পরিষেবা আম্ফানের সময় থেকে বন্ধ রয়েছে, পুনরায় সেই রাস্তায় ট্রাম চালাতে  চলেছে  সরকার।

 সমস্ত সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি, প্রকল্পের খবর পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হন -

Leave a Comment