রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার কন্যাশ্রী ইত্যাদি নেওয়ার আগে অবশ্যই একবার ভেবে দেখুন। যে বাড়ির লক্ষ্মীরা আদৌ কি সুরক্ষিত রয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি বার্তা ছুড়লেন অভয়ার বাবা-মা
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এর বীভৎস ঘটনার আবার একটি নতুন তথ্য সামনে এলো। এই ঘটনার প্রতিবাদে এখন বর্তমানে কেঁপে উঠেছে রাজ্য সহ গোটা দেশ এমনকি দেশের বাইরেও কিছু জায়গায় মহিলাদের এই ঘটনা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে।
এখন আবারো এক হল ঘটি বাঙাল অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ডার্বি বাতিল হলেও কোনো কিছু যায় আসে না। কলকাতার ঐ মেডিকেল হসপিটালের ওই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনের আশেপাশে জমায়েত করে Justice for RG Kar স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানানো হয়।
যদিও কলকাতা পুলিশ আগে থেকেই এই জমায়েতে নিচে ধাক্কা জারি করেছিল। কিন্তু সেই নিচে থাকার কোনোরকম তোয়াক্কা না করেই সমর্থকদের মধ্যে বেশ একটা ধস্তাধস্তিও হয়। এমন কিছু শোনা যাচ্ছে নাকি লাঠিচার্জও হয়েছে ওখানে। এই ঘটনার জন্য আবারো অভয়ার বাবা নতুন একটি বক্তব্য সবার সামনে নিয়ে এলেন।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অর্থাৎ অভয়ার বাবা এবং এর পাশাপাশি তার মা সরাসরি একদম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সবর হয়ে কথা বললেন। অভয়ার বাবা নিউজ মাধ্যম সূত্রে জানালেন যে, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলন করছেন, বলছেন বিচার চাই ! ওদিকে আবার তিনি একদম বিপরীত রুপ ধারণ করে মানুষের আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত । তাহলে উনি কি এই এত বড় এবং নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ নিতে ভয় পাচ্ছেন নাকি তিনিও এই ঘটনা সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়েছেন। কেন এমন দ্বিচারিতা তার ? প্রশ্ন তিলোত্তমার বাবার।
আরও পড়ুন: RG KAR বিচারের দাবিতে ছাত্র সমাজের ডাকে এবার নবান্ন চলো অভিযান
এছাড়াও অভয়ার বাবা বলেন যে, ‘যে বা যারা মুক্ত কণ্ঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছেন অর্থাৎ বাংলার ওই মহিলা ডাক্তারের নৃশংস মৃত্যুতে সত্যিকারের শোকাহত হয়েছেন যেসব মহিলারা ও পুরুষেরা। তিনি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
অভয়ার মা বলেছেন যে, রাজ্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের একটাই বার্তা যে, আমরা তাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছি। যারা এই নোংরা, নিচ মানসিকতা যুক্ত এবং এই রাজ্যসরকারের কাছ থেকে লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পের টাকা তার বাড়ির মেয়েদের বা বোনেদের জন্য নিচ্ছেন। আদৌ কি সেই বাড়ির মেয়েরা সুরক্ষিত রয়েছে? সেটা একবার গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।
আমি চাইনা আমার মেয়ের সাথে যেটা হয়েছে,সেটা এই বাংলার আর কোনো মেয়ের সঙ্গে হোক। সুতরাং, এই নোংরা রাজ্য সরকারের অবশ্যই তৎক্ষণাৎ পতন দরকার। তা নাহলে এই বাংলার মেয়েরা কিছুতেই সুরক্ষিত হবে না। হয়তো কিছু বছর পর আর বাংলার মা বোনেদের বাড়ি থেকে বেরোনো মুশকিল হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, রাজ্য সরকারের পতন এবার হতেই হবে। এটাই আপনাদের সকলের কাছে আমার আর্জি রইল ।