বাতিল হল 69 হাজার শিক্ষকদের চাকরি। তাহলে স্কুলে এবার থেকে পড়াবে কে !

বাতিল হল 69 হাজার শিক্ষকদের চাকরি: রাজ্যের সমস্ত স্কুল শিক্ষকদের মাথায় পড়লো আবার একটি নতুন বাজ। কেননা শোনা যাচ্ছে নাকি এবার প্রায় 69 হাজার শিক্ষকের চাকরি খুব শীঘ্রই বাতিল হতে চলেছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

শিক্ষকদের মাথায় এখন দুশ্চিন্তার ধারা নেমে এসেছে। এই নিয়েই হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ একটি নতুন মেধাতালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। যেটা আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন বাছাই তালিকা প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে, এমনটাই জানা গিয়েছে।

হাইকোর্টের নতুন সিদ্ধান্তের পর নবান্নে বৈঠক করা হয়েছিল। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বেসিক শিক্ষা বিভাগকে হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর বিভাগীয় আধিকারিকদের বলেছেন যে, কোনো প্রার্থীর প্রতি অবিচার করা উচিত নয়।

এই শিক্ষক বাতিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভবানী বৈঠকের পর তিনি টুইটারে একটি টুইট প্রকাশ করে লিখেছেন যে ,”মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এবং মাননীয় হাইকোর্ট, এলাহাবাদের লক্ষনৌ বেঞ্চ সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এর ফলে স্পষ্ট যে রাজ্য সরকারের যে সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীরা সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত রিজার্ভেশন সুবিধা পাবেন এবং কোনো প্রার্থীর প্রতি অবিচার করা উচিত নয়। এবার দেখে নিন হাইকোর্ট কি নির্দেশ দিয়েছে এর ফলে।

এই চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ : উত্তরপ্রদেশে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে 69 হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা 2019 এর ক্ষেত্রে প্রার্থীর একটি নতুন বাছায় তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পাশাপাশি সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা সাধারণ শ্রেণীতে এলে সাধারণ শ্রেণীতেই স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের বাছাইতালিকা বাতিলের আদেশ বহাল থাকবে। হাইকোর্ট 2020 সালের 1 জুন প্রকাশিত বাছাই তালিকার এবং 2022 সালের 5 জানুয়ারি তারিখের প্রার্থীর বাছাইতালিকা উপেক্ষা করে নতুন তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে।

আসলে, শিক্ষক নিয়োগে প্রায় 19 হাজার আসনের সংরক্ষিত কেলেঙ্কারি প্রমাণিত হয়েছে আদালতে । এমনই এক পরিস্থিতিতে পড়ে, বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে রিজার্ভেশন বিধি 1981 এবং সংরক্ষণ বিধি 1994 অনুসরণ করে এই নতুন তালিকা তৈরি করা উচিত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ এর রাজ্যে প্রায় 69 হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আদেশের পরেই প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন বর্তমানে মৌলিক শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন তালিকা প্রকাশ করলে প্রায় 5 থেকে 6 হাজার চাকরি রত শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এই ক্ষেত্রে, 2022 সালের জানুয়ারি মাসে সরকার একক বেঞ্চে সংরক্ষিত বিভাগের 6800 জন ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। পরে কিন্তু একক বেঞ্চটাও বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরি নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্নের মুখে রয়েছে প্রায় 26 হাজার চাকরি।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্ট কিছুদিনের মধ্যেই যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের একটি বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করবে । এমন পরিস্থিতিতে ফের একবার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সবর হয়েছে উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ওই হাইকোর্টের ডাবল বেঞ্চ 2020 সালের জুন মাসে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নির্বাচন তালিকা উপেক্ষা করে একটি নতুন তালিকা তৈরি করার নির্দেশ, শুধু উত্তরপ্রদেশ সরকারকেই হতবাক করেনি, এটা মূলত গত 4 বছর ধরে কর্মরত হাজার হাজার শিক্ষকের চাকরির হুমকির মুখে ফেলেছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র সরকারের ই শ্রম যোজনাতে আবেদন করুন

এখন যে 69 হাজার সহকারি শিক্ষক পদের জন্য এই নিয়োগ পরীক্ষা 6 জানুয়ারি 2019 তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর জন্য অসংরক্ষিতদের কাটঅফ ছিল 67.11% এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের কাটঅফ ছিল 66.73% । যার ফলে ওই নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় চাকরি পেয়েছে 68 হাজার প্রার্থী।

 সমস্ত সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি, প্রকল্পের খবর পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হন -

Leave a Comment