আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে পুরো ধুয়ে দিল! কি রায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট ?

আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে পুরো ধুয়ে দিল: একদম স্বপ্রণোদিত পদক্ষেপ দেখা গেল আরজিকর কান্ডে সুপ্রিম কোর্টের।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি D Y চন্দ্রচূড়, বিচারপতি J B পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের একত্র বেঞ্চে 20.08.2024 তারিখ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। এর আগে ওই মামলার শুনানি চলেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন কেন এই মামলার কোনো রকম স্বপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেয়া হলো না, প্রশ্ন তুলছেন বিচারপতি চন্দ্রচুড় মহাশয়।

মঙ্গলবার 3 বিচারপতির ওই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায় যে, “কলকাতার হাসপাতালে এ ঘটনা শুধুমাত্র একটি ভয়ংকর ও নৃশংস খুনের মামলা শুধু নয়, এটা গোটা দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং পদ্ধতিগত সমস্যার বিষয়। সেই কারণেই মামলাটির হাইকোর্টে শুনানি শুরু হলেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার।”

এ বিষয়ে একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয় যে, “কর্মক্ষেত্রে রাজ্যের তথা দেশের সমস্ত চিকিৎসকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টিও মঙ্গলবার উঠে আসে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে। মহিলা চিকিৎসকদের তাদের কর্মস্থানে অথবা যাওয়া আসার সময় কি কি সমস্যার মুখে পড়তে হয়, এই কথাও এখানে তুলে ধরা হয়। সমস্ত মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য একটি Standard Protocol এর প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য যে, “জুনিয়র চিকিৎসক (পুরুষ ও মহিলা উভয়) দের দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হয়। তার জন্য তরুণ সমস্ত পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ডিউটি রুম এবং রেস্টরুম এর দরকার। কিন্তু সেটা নেই। নিরাপদ গর্বস্থল নিশ্চিত করতে জাতীয় স্তরে ঐক্য মতে ভিত্তিতে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রোটকল তৈরি করতে হবে এটাই সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানালেন।

যদি দেখে মহিলারা তাদের নিজেদের কর্মস্থলেই সুরক্ষিত বোধ না করেন, তাহলে সংবিধানে উল্লেখিত সাম্যের অর্থ কি? এর পাশাপাশি হাইকোর্ট আরো জানালেন যে, “আর জি কর কান্ডে নির্যাতিতা অভয়া মৃত মহিলা চিকিৎসকের নাম এবং ছবি নিউজ মাধ্যমিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে চৈত্রে জনগণের সামনে নিয়ে আসা উচিত হয়নি।

এরপরে মঙ্গলবার ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন যে, “নির্যাতিতা ও মৃতা ডাক্তারের নাম এবং ছবি এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে, এতে আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি”। বিচারপতি এই কাণ্ডের ওপর মূলত শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, কোনরকম যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নির্যাতিতার নাম প্রকাশ না করা হয়, সেই নিয়ে এর আগেই বহুবার জানানো হয়েছে।

ওই শুনানির নির্দেশনামাই আরো কিছু কথা উঠে এসেছে, সেগুলি হলো – হাসপাতালের মধ্যেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর কিভাবে বারবার হামলা হয়েছে। বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, সমস্ত হাসপাতাল গুলি 24 ঘন্টায় খোলা থাকে। যার ফলে ডাক্তার, নার্স সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের সর্বক্ষণ কাজ করে যেতে হয়, কোনো রকম কিছু না ভেবে। হাসপাতাল এর মধ্যে যেহেতু সব সময়ই নানান মানুষের যাওয়া আসা লেগেই রয়েছে, মূলত তার ফলেই সমস্ত ডাক্তার-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর নানারকম জঘন্য আক্রমণের খবর দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন: দফা এক দাবি এক মমতার পদত্যাগ , ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন চলো অভিযান

কিছু ঘটনা ঘটলে রোগীর পরিজনদের মধ্যে সেটিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতি হিসেবে দেখা ধারণা রয়েছে আমাদের এই সমাজে। মূলত এই ধরনের অভিযোগ গুলি থেকেই সেটা পরবর্তীকালে এক বড়োসড়ো হিংসার আকার ধারণ করে। মূলত সেটাই দিন দিন আমাদের এই সমাজে ডাক্তারদের ওপর আক্রমণের মূল কারণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারদেরও কমতি থাকে। কিন্তু সে বলে একটা ডাক্তারের উপর ভিত্তি করে সমস্ত ডাক্তারকেই খারাপ বলা উচিত নয়।

 সমস্ত সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি, প্রকল্পের খবর পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হন -

Leave a Comment