এই বাংলার বুকে কর্মসংস্থান হয়ে গেল আরো সহজ: বর্তমানে আমাদের ভারতবর্ষে জনসংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় 140 কোটি। তার জন্যেই এটি হয়ে গিয়েছে পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে জনবহুল দেশ। এবং এই জনবহুলতার কারণেই দেশ সহ আমাদের এই রাজ্যেও দিন দিন চাকরির প্রচন্ড অভাব দেখা যাচ্ছে। যার ফলে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষিত বেকার যুবকরা দিন দিন ঘরে বসে যাচ্ছে এবং বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা।
এর ফলে বেশিরভাগ মানুষ এই এখন চাকরির কথা মাথা থেকে ফেলে দিয়ে ব্যবসার দিকে অথবা অন্য কোন উপায়ে তার রোজগারের স্বপ্ন দেখতে বাধ্য হচ্ছে। মূলত তার জন্যেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবারও একটি নতুন এবং বেশ তাজা একটি প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্প টির নাম দেওয়া হয়েছে “গতিধারা প্রকল্প“। যেটা “Sarkari Chakri” এর আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা রয়েছে।
মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনি বেশ মোটা অংকের টাকা রোজগার করতে পারবেন। এই প্রকল্পের দ্বারা আবেদনকারী ব্যক্তিদের গাড়ির ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে। এখন শহর তো বটে এর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামেও গাড়ির ব্যবসাটাও জনপ্রিয় আকার ধারণ করেছে, গাড়ি চালিয়ে বেশ মোটা অংকের টাকা এখন উপার্জন করা সম্ভব, কিন্তু একথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনেই গাড়ি চালানো উচিত।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ মানুষই এখনো পর্যন্ত মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে রয়েছেন। তারপরে একটা গাড়ি কেনাতে ছোটখাটো কোনো ব্যাপার নয়। আর মমতা ব্যানার্জির এই রাজ্য সরকার আপনাকে উল্লেখিত প্রকল্পের মাধ্যমে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে 30% ভর্তুকি দেবে ও এর পাশাপাশি 65% ঋণ ও দেবে। তাহলে সবকিছু হিসাব করে দেখলে বোঝা যায় যে, গাড়ি কিনতে আপনাকে শুধুমাত্র 5% টাকা নিজের পকেট থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে।
সুতরাং এটি খুবই একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হতে পারে। এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল আজ থেকে প্রায়ই 10 বছর আগে 2024 সালে। সমস্ত রকম বাণিজ্যিক কাজের জন্য এই গাড়ি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই গতিধারা প্রকল্পের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভেদে নিয়ম কিছু আলাদা রয়েছে।
যেমন ধরুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরুষদের ক্ষেত্রে 1 লক্ষ টাকা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এই প্রকল্পের আরো একটি সুবিধার দিক হলো যে এই ঋণ পরিষদ করার কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। তার ফলে আপনার সুবিধামতো আপনি যতদিনে ইচ্ছে ততো দিন এই দিন পরিশোধ করতে পারবেন।
এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি ও গতিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কোনো রকম গাড়ি কেনার সময় পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে খুব সহজে গাড়ির পারমিট করে দেয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে ঋণ প্রদান করা হয় সেটা দেওয়া হবে মূলত পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত যেকোনো গ্রামীণ ব্যাংক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক এবং ন্যাশনালাইজ ব্যাংকের মাধ্যমে।
তাহলে আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং চাকরির আশা মূলত প্রায় মাথা থেকে ফেলে দিয়েই কোনরকম ব্যবসা করার কথা মাথায় এনেছেন, তাহলে এই প্রকল্পটি আপনার জন্য খুবই সুবিধা যেন হতে চলেছে।
“Sarkari Chakri” ওয়েব পোর্টাল তার এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে গতিধারা প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এই আলোচনার মধ্যে রয়েছে এইখানে আবেদন করার জন্য যোগ্যতা কি কি প্রয়োজন? কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন এই গতিধারা প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করনের জন্য? আবেদন পদ্ধতি কি কি রয়েছে ইত্যাদি সমস্ত বিষয়। তাহলে এবার দেখে নিন বিস্তারিত তথ্য গতিধারা প্রকল্প সম্বন্ধে এই প্রতিবেদনের নিচের দিকে।
গতিধারা প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্ :-
আপনি যদি এই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান, তাহলে আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত সমস্ত ডকুমেন্টস্ গুলির প্রয়োজন হবে –
- আধার কার্ড
- ভোটার কার্ড
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- কাস্ট সার্টিফিকেট
- বাসিন্দা সার্টিফিকেট
- ইনকাম সার্টিফিকেট
- ব্যাংকের পাস বই
- গাড়ির পারমিট
- কোটেশন নম্বর
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।
গতিধারা প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যোগ্যতা : এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে আবেদনকারীর –
- আবেদনকারী ব্যক্তিকে পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারীর পারিবারিক মাসিক 25,000 টাকার কম হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স হতে হবে 25 থেকে 45 বছরের মধ্যে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা এখানে সরকারি নিয়মানুযায়ী ছাড় পেয়ে যাবেন।
- একটি পরিবারের একজন শুধুমাত্র এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
আবেদন পদ্ধতি : রাজ্য সরকারের এই গতিধারা প্রকল্পে আপনাকে আবেদন করতে হবে এভাবে –
- প্রথমে গতিধারা প্রকল্পের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে আপনাকে।
- সেখানে গিয়ে Annexure I, II & III সমস্ত ফর্মগুলি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
- সেটি হয়ে গেলে সমস্ত রকম তথ্য সহকারে একদম সঠিকভাবে ফর্মগুলিকে পূরণ করে নিতে হবে।
- তারপর প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ডকুমেন্টস্ এবং ফিলাপ করা ফর্মগুলিকে একটি খামে ভরে নিকটবর্তী পরিবহন কাঠামো উন্নয়ন নিগমের দপ্তরে গিয়ে জমা করে আসতে হবে।
- আবেদনপত্র ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে রেজিস্টার ফোন নম্বরে আপনি মেসেজ পেয়ে যাবেন।
- যদি আপনার আবেদনটি অনুমোদন পেয়ে যায় তাহলে আপনি নিকটবর্তী পরিবহন কাঠামো উন্নয়ন নিগমের কাছ থেকে পরবর্তী ধাপগুলি জানতে পারবেন।
গতিধারা প্রকল্প অফিসিয়াল ওয়েবসাইট : Click Here