বিচার পাবে কি অভয়া ? অবশেষে CBI এর হাতে গ্রেফতার হলেন সন্দীপ ঘোষ!

অবশেষে অনেক অপেক্ষার পর কলকাতা আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করল CBI । মূলত দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে CBI ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এর আগে আমরা দেখেছি সন্দীপ ঘোষকে বারংবার CGO কমপ্লেক্স চেয়ে ডেকে আনা হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদে চলছে দীর্ঘক্ষণ ধরে CBI আধিকারিকদের তরফ থেকে। এবং রাত্রে তিনি আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু এবারে সেই ঘটনার ব্যতিক্রম হয়ে সরাসরি এবার সন্দীপকে CGO কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে আসা হল নিজাম প্যালেসে।

সন্দীপ বলে এই মানুষরূপী জল্লাদ্দার গ্রেপ্তারে পেছনে সবচেয়ে বড় হাত হলো তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলীর। তিনি সন্দ্বীপের বিরুদ্ধে নানারকম দুর্নীতির অভিযোগ করেন এবং হাইকোর্টে মামলা করেন তার বিরুদ্ধে। সেই মামলাকে পরবর্তীকালে তুলে দেওয়া হয় CBI এর হাতে । তারপর Central Bureau of Investigation বা CBI এই সমস্ত দুর্নীতির জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং সেই জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অর্থাৎ সন্দীপ ঘোষ দোষী বিবেচিত হলে CBI তাকে গ্রেফতার করে।

গত 25 আগস্ট সকালবেলা সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছয় CBI এর একটি দল। সেখানে পৌঁছে প্রায়ই বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় । মূলত হাসপাতালে আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া, জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর অত্যাচার ইত্যাদি নানা কারণে মামলার তদন্তভারও CBI এর হাতে তুলে দিয়েছে আদালত।

পরে আদালতের অনুমতিতে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়। । CBI এর দুর্নীতি দমন ইউনিট সন্দ্বীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছে এবং এই ইউনিটি নিজাম প্যালেসের অফিসে অবস্থিত। মূলত সন্দীপ ঘোষ কে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের 420 ধারার এবং 7 ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়।

সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারি খবর শোনা মাত্রই কলকাতায় লালবাজার অভিযানকারী জুনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দের এক ধারা বয়ে যায়। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছে এটা তাদের নৈতিক জয়। আবার অন্যদিকে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আরেকটি দল বলে যে, স্বাস্থ্য ভবনের আরো যেসব উচ্চপদস্থ ও দুর্নীতি পরায়ণ অভিযুক্তরা আছে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হোক।

হয়তো সন্দীপ ঘোষ কে CBI গ্রেফতার করেছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত আন্দোলনরত সেই সমস্ত জুনিয়র ডাক্তারগণ এবং অভয়া কিন্তু বিচার পাইনি। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেপ্তার করার খবর শুনে অবশ্যই তারা সামান্যতম হলেও খুশি হয়েছে।

গত 8 এবং 9 আগস্ট ডিউটি করার সময় রাত্রে বেলায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের পর থেকে সন্দীপ ঘোষকে অপসারণ এবং তাকে গ্রেপ্তারের আর্জি করেন 8 থেকে 80 সকল বয়সের আন্দোলনকারীরা। সেই অনুযায়ী 4 দিন পর অর্থাৎ 12 আগস্ট সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগ করে বটে কিন্তু আমাদের এই দুর্নীতি পরায়ণ রাজ্য সরকারের সুবাদে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপকে কলকাতারই অন্য আর এক সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপকে ছুটিতে চলে যেতে বলে এবং পরে আন্দোলনের যে সন্দীপকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই পদ থেকেও। সন্দীপকে 16 আগস্ট থেকে একদম টানা 15 দিন ধরে CBI জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই জেরা করার ফলেই হয়তো সন্দীপের এইসব কালোবাজারি ধান্দা সামনে এসেছে। পরবর্তীকালে এসেই অনুযায়ী সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়।

সিবিআই এর পরবর্তীকালে বাকি সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি গুলোকে ধরতে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং অভয়া কে আদৌ বিচার পাবে এটা দেখার জন্য, আমাদের শুধুমাত্র এখন অপেক্ষা এবং আন্দোলন করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

 সমস্ত সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি, প্রকল্পের খবর পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হন -

Leave a Comment