sarkari chakri:

এবার থেকে ১০ তারিখের পর বেতন ঢুকবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের, সূত্র মারফত এমনটাই খবর

রাজ্যের সরকারি কর্মী বেতন এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন নিয়ে এক বিরাট বড় ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার । 1 তারিখ থেকে আর বেতন পাবে না রাজ্যের এই সমস্ত কর্মীরা। যার ফলে বেশ কিছুটা খরচ বেঁচে যাবে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্য সরকারের।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা করেছেন যে, 1 তারিখ থেকে মাই়নে বা দিলে রাজ্য সরকারের বেশ সুবিধা হবে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, প্রতি মাসের 1 থেকে 5 তারিখ পর্যন্ত বেতন না দিলে এবং 1 থেকে 10 তারিখ পর্যন্ত পেনশন না দিলে, রাজ্য সরকার প্রতি মাসে সুদের ব্যয় নিয়ে প্রায় 3 কোটি টাকা পর্যন্ত বেঁচে যাবে । যার ফলে প্রতি বছর রাজ্য সরকার প্রায় 36 কোটি টাকা সঞ্চয় করতে পারবে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জন্য গিয়েছে যে, মমতা ব্যানার্জীর রাজ্য সরকার প্রতি মাসে এখন বর্তমানে বেতন দেওয়ার জন্য 7.5% সুদের হারে টাকা ধার করছে। সেই হিসেবে এবার মাইনে দেওয়া দেরি করতে পারলে এই ধরনের ঋণের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস হবে রাজ্য সরকারের। যার ফলে যে 7.5% সুদ, সেটা সঞ্চয় করে রাখতে পারবে রাজ্য সরকার।

মাত্র কিছুদিন আগে হিমাচল প্রদেশের রাজ্য সরকার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানিয়েছে যে, তার মাসিক ব্যয় প্রায় 1200 কোটি টাকা। এদিকে আবার পেনশনের জন্য বরাদ্দ করা থাকে প্রায় 800 কোটি টাকা। যার ফলে ওই রাজ্যে প্রতি মাসে সরকারের বেতন এবং পেনশন নিতে খরচা হয়ে থাকে প্রায় 2000 কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে দেখতে গেলে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব, রাজ্যের তহবিল পরিচালনার জন্য একটি সেরা দৃষ্টিভঙ্গি দেখায়। ঋণের চাপ কমানোর ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম দারুন কাজে লাগবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মাইনে দেওয়ার সময়সূচী নির্দিষ্ট করে মেন্টেন করার মাধ্যমে সরকার তার ধারের টাকার খরচ কমাতে চাই, যার ফলে বাজেটেরও সঞ্চয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে যে, 5 তারিখে মাইনে দেওয়া এবং 10 তারিখে টেনশন দেওয়া নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তটি সরকারি কর্মীতে যে কতটা ভালো লাগবে।

অন্যদিকে আবার দেখতে গেলে, সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণে কিছুটা আর্থিক চাপের সম্মুখীন হতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, মমতা ব্যানার্জির এই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় বিশ্বাস করে যে রাজ্যে আর্থিক দিকে এটি ভালো অবদান রাখতে পারে। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। এবার মোদ্দা কথা হচ্ছে যে, হিমাচল প্রদেশের মত দেশের অন্যান্য সমস্ত রাজ্যগুলো এই নতুন পথে হাটবে কিনা।

 সমস্ত সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি, প্রকল্পের খবর পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হন -

Leave a Comment