Supreme Court : সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে এবার একই দিনে পড়ে গেল দুই অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির তারিখ। মূলত তার জন্যেই শীর্ষ আদালতের দিকে বাংলার সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের সকাল থেকেই নজর ছিল এবং এই দুটি মামলার মধ্যে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি হল 2022 সালের প্রাথমিক টেট নিয়োগ-ধামলা এবং দ্বিতীয় টি হল এসএসসি বাতিল মামলা। তাহলে কি বলল সুপ্রিম কোর্ট এই দুই মামলা সম্বন্ধে । সেটি বার তাহলে বিস্তারিত আকারে জেনে নিন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি পড়ে ।
বাতিল হলো 2022 সালের মামলার শুনানি :
10ই ফেব্রুয়ারি সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি পি শ্রী নরসীমা এবং বিচারপতি মনোজ মিত্রের যুক্ত ডিভিশন বেঞ্চে 2022 সালের প্রাথমিক টেট নিয়োগ মামলার শুনানি উঠেছিল। প্রায় 11,758টি শূন্য পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল সেই বছরের টেট পরীক্ষাতে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র 9533 জন প্রাথমিক শিক্ষকই নিয়োগ করা হয়েছে এবং বাকি প্রায় 2800 জন শূণ্যপদ এখনো ফাঁকা রয়ে গেছে।
তাই সর্বোচ্চ আদালত এবার জানতে চেয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে বর্তমানে এসে পৌঁছেছে। মূলত তার জন্য এবার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ কে তাদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় সমস্ত রকম রিপোর্ট সর্বোচ্চ আদালত কে পাঠাতে হবে। এর পাশাপাশি একই সঙ্গে মামলার আবেদনকারীদের তিনটি শ্রেণীতে পৃথকীকরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা কেন ? সে কথা এখনো পরিষ্কার নয়।
Read More: ই-শ্রম কার্ডে এবার প্রতিমাসে পাবেন 3000 টাকা
2016 সালের SSC তে চাকরিটাও এখনো ঝুলে পরে রয়েছে :
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা তে রিপোর্ট চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু এদিকে SSC তে যে 26,000 চাকরি বাতিল এর মামলার শুনানি হয়েছে সেটাতে কি হয়েছে সেটা এবার জেনে নিন তাহলে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC 2023 সালের 22শে এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। যেটা মূলত রাজ্যের সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে এক চরম উন্মাদনার সৃষ্টি করে দিয়েছিল। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ শব্বর রশিদ এর যুগ্ম ডিভিশন বেঞ্চ 2016 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে দিয়েছিল। কিন্তু তখন সে নির্দেশের ফলে সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় 25,753 জন চাকরিজীবী নিজেদের চাকরি হারাই।
চাকরিবাজির পাশাপাশি যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের চাকরি পেয়েছিলেন বা যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন অর্থাৎ মূলত ঘুষ অথবা দুর্নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তাদেরকে কড়া ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা তাদের বেতনের সমস্ত টাকা সুদসহ ফেরত দিয়ে দেয়। যার ফলে তখন রাজ্যের সমস্ত চাকরিজীবীরা এক চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন।
মূলত হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের চাকরিজীবীদের মাধ্যমে। এই নিয়ে শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নয় পৃথকভাবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ও আলাদাভাবে মামলা করেছে।
এছাড়াও যে সমস্ত ব্যক্তিরা চাকরি হারিয়েছিলেন তারাদের মধ্যে বেশ কিছু এমন ব্যক্তিও রয়েছেন যারা বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় হাইকোর্টে মামলা করেছেন। এই নিয়ে গত বছর 7ই মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এর বেঞ্চ চাকরি বাতির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিল যে, যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয় তাহলে গোটা প্যানেলকে বাতিল করা কোনভাবেই ন্যায্য হবে না।

Hello, I am Akash Mondal. I am working as a Bengali Senior Content Writer in ‘Sarkari Chakri’. I have an experience of 2 years on this Profession.Now I am trying to give my best effort on this Bengali news article site. Hope you like us. Feel free to leave a valuable comment and Star Mark for every news article Post. Thanks a lot for being with us.