নতুন বন সহায়ক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট : কেন এমন সিদ্ধান্ত? বিস্তারে জানুন

নতুন বন সহায়ক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট : কেন এমন সিদ্ধান্ত? বিস্তারে জানুন

নতুন বন সহায়ক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট : কেন এমন সিদ্ধান্ত? বিস্তারে জানুন
নতুন বন সহায়ক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

Sarkari Chakri

নমস্কার বন্ধুরা :- 

রাজ্য সরকার কিছুদিন আগে যে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বার করেছিলেন সেটা আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত করা হলো। এর পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে যে চলতি বছর বন সহায়ক পদে নিয়োগে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল তা অনুযায়ী এখন সেই নিয়োগ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বন সহায়ক পদের যে 2000 কর্মীর বাতিলের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেটা কেউ কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিত করতে পারে। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে বন বিভাগে কর্মী নিয়োগের ওপরে নাকি চরম দুর্নীতি হয়েছে এবং তা নিয়েই কলকাতায় হাইকোর্টে একটা মামলা উঠেছে। 

লোকপিতা ব্যানার্জি যিনি কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি উনার সিঙ্গেল বেঞ্চ এই কেসটার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এই মামলার জন্য রায় দেন যে, আগামী দু মাসের মধ্যে যেসব প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের পুরনো প্যানেল বাতিল করে সরকারকে আবার একটা নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। এবং যে নতুন প্যানেলটা তৈরি হবে সেই প্যানেলে যাদের নাম থাকবে না, তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশও হাইকোর্ট। কিন্তু এই রায়টাও বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভি. এম. ভেলুমনি ও বিচারপতি রাই চ্যাটার্জী এর যুগ্ম ডিভিশন ব্রাঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নতুন করে বন সহায়ক নিয়োগে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সেটা আপাতত 6 জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে।

বিচারপতি লোকপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, পুরনো প্যানেল বাতিল করে, নতুন প্যানেল গঠনের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো একবার শুরু করা হোক। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি লোকপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত সেটাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচার প্রতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী কাছে যে মামলাটা জানানো হয়েছে সেটা নিয়োগ পাওয়া 50 জন প্রার্থী করেছেন। এই নতুন করে নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান মামলাকারি প্রার্থীদের আইনজীবী হিসেবে উদয় শংকর চট্টোপাধ্যায় এবং শামীম আহমেদ।

এই দুই আইনজীবীর মতে, নতুন করে যদি নিয়ম টি আবার হয় তাহলে পুরনো প্যানেলের নাম থাকা 2000 জন মানুষের চাকরি চলে যেতে পারে। এবং এই সমস্ত ঘটনার পরেই হাইকোর্ট এই বন সহায়ক পদটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করে।

Sarkarichakri.co.in আমরা কোন নিয়োগ সংস্থা নয় সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির ওয়েবসাইট গুলিতে যে সমস্ত চাকরির খবরের আপডেট দেয় সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরাই আমাদের দায়িত্ব তাই আমাদের বিজ্ঞপ্তি পড়ার পর চাকরিতে এপ্লাই করার আগে অবশ্যই সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে গিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি কে যাচাই করে নেবেন যদি কোনো অসুবিধা হয় অবশ্যই আমাদের সঙ্গে কন্টাক করতে পারেন অথবা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন

Leave a Comment