বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ভারত সরকার তা নিজস্ব নিরাপদ আশ্রয় নির্ধারণ করার জন্য কিছুটা সময় দিয়েছিল। কিন্তু এখন যে রকম পরিস্থিতি সামনে এসেছে সেই মোতাবেক শেখ হাসিনাকে এখন আপাতত ভারতেই থাকতে হচ্ছে বেশ কিছুদিন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যতটুকু জানা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনাকে কোন দেশেরই প্রধান নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে চাইছেন না, তার জন্য ওনাকে আপাতত এখানেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু ভারত সরকার হাসিনাকে কোনো রকম রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে না। বরং তাকে অন্যান্য সকল সাধারণ মানুষের মতো ভিসার অনুমোদন প্রক্রিয়া অনুযায়ী এখানে থাকতে হবে। এটাই আপাতত সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ।
কেন্দ্রীয় সরকার এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানিয়েছেন যে “এই মুহূর্তে অন্য কোন দেশে হাসিনার পক্ষে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভারতে তিনি আশ্রিত বা শরনার্থী হিসেবেও থাকতে পারবেন না। কেননা ভারতের ওই সংক্রান্ত কোনো আইন নেই।
কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি আরো বলেন যে আমরা জেনে বুঝেই ওরকম কোন নিয়ম আমাদের দেশে তৈরি করতে দিইনি। তাই আইনত আমরা কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারি না। শরণার্থী হিসেবেও রাখতে পারি না।
তাকে ভারতে আশ্রিত তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ওই সূত্র বলেন, “দলাই লামা এখানে রয়েছেন ভারত সরকারের নীতি সংক্রান্ত কারণে”।
হাসিনা এদেশে আসার পর সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে তিনি নাকি ব্রিটেনের কাছেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসিনার ওই আবেদন ব্রিটেন সরকার মেনি নেয় নি। এর পাশাপাশি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেও হাসিনার ভিসা বাতিল হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ঐ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, হাসিনা এখন আরব আমিরশাহী অথবা ইউরোপের অন্যান্য দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। কিন্তু যতদিন না সেই সন্ধান চপল হচ্ছে ততদিন ভারতেই আপাতত থাকবেন শেখ হাসিনা।
তবে সদ্য প্রাক্তন বাংলাদেশী মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার পত্র সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেললেই তার মা দেশে ফিরবেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত ভারত থেকেই বাংলাদেশের ফিরবেন কিনা এটা এখন শুধুমাত্র সময় বলে দেবে। কিন্তু, গণতন্ত্র বাংলাদেশে ফেরার আপাতত কোনো রকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সরকার কেমন হয় সেটা দেখার।