RG Kar বিচারের দাবিতে ছাত্র সমাজের ডাকে এবার নবান্ন চলো অভিযান: কিছুদিন আগেই ঘটে গেল বাংলার ইতিহাসে এক জঘন্য নোংরা কান্ড। আর সেই আর জি কর ধর্ষণকাণ্ডে এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলার রাজনীতি। যার ফলে এখন রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দলে দলে বাংলা সাধারণ জনগণ বিক্ষোভে নেমেছে।
RG Kar বিচারের দাবিতে ছাত্র সমাজের ডাকে এবার নবান্ন চলো অভিযান
তাদের সবার মুখে একটাই শব্দ “We Want Justice” / “আমাদের বিচার চাই” । সেই ঘটনার প্রতিবাদেই এবার বাংলা ছাত্র সমাজের উদ্যোগে প্রতিবাদ জানাতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হলো। সেই নিয়ে এখন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম, নিউজ মাধ্যমিক ইত্যাদি সূত্রে একটি পোস্ট এর মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া সেই পোস্টে লেখা রয়েছে আগামী 26 আগস্ট এর মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে থেকে পদত্যাগ না করে তাহলে তার পরের দিন অর্থাৎ আগামী 27 এপ্রিল দুপুর 2 টোর সময় ছাত্র সমাজের উদ্যোগে নবান্ন অভিযান করে ধর্নায় বসা হবে।
তবে এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শব্দটি হল ওই পোষ্টের মধ্যে – “দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ” । এই অভিযানের সমস্ত উদ্যোক্তারা বিশেষ করে জানিয়েছেন যে বাংলার প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত 1 জন করে ঐদিন নবান্নে নিজ দায়িত্বে যেন উপস্থিত হয়। কেননা এই কালোবাজারি, নোংরা রাজ্য সরকার থাকলে খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গও যে বাংলাদেশে পরিণত হবে না সেটা জানা যাচ্ছে, অর্থাৎ এখনই এই রাজ্য সরকারের পতন চাই।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফ থেকে বানানো ওই ভাইরাল হওয়া পোস্টে আরো বড় বড় করে লেখা রয়েছে যে, “এই অভিযানে কোনো রকম অশান্তি কাম্য নয়। পুলিশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে এই অভিযানে পাশে থাকার”।
এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা ও ভারতীয় জনতা পার্টি একজন বিশিষ্ট নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে , “তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকবেন ওই অভিযানে, সেখানে অবশ্যই কোনো রকম রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না। এখানে শুধু থাকবে একমাত্র ভারতে জাতীয় তিরঙ্গা পতাকা। ছাত্র সমাজের এই আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন।
এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী আরও জানিয়েছেন যে, ‘অভয়ার বাবা একবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিন, সবাই অবশ্যই সেখানে বেরোবে। তাকে আসতে হবে না, তিনি অবশ্যই একজন বয়স্ক মানুষ, শোকাহত অবস্থায় রয়েছেন এখনো পর্যন্ত। জাতীয় তিরঙ্গা পতাকা হাতে নিয়ে একবার শুধু ডাক্তার দিয়ে দেখুন, বাকিটা আমরা নবান্নে পৌঁছে দেখিয়ে দেব এই রাজ্য সরকারকে।
যদি অভয়ার বাবা কে যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা আহবান জানানো হয় এই নৃশংস এবং নোংরা R G কর ঘটনার প্রতিবাদে, তাহলে অবশ্য তিনি সেখানে উপস্থিত হবেন।
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, “রাজ্য সরকার বলছে, রাত মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। এই লজ্জা রাখার কোন জায়গা আছে কি?” । ‘যেখানে সংসদে, বিধানসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণ বিল পাস হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মহিলাদের বাড়ির মালিকানা দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই রাজ্য সরকার বলছে কিনা মহিলাদের রাতে ডিউটি করা প্রয়োজন নেই?
রাজ্য সরকারের একদম শীর্ষে বসে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি একজন মহিলা নন তাহলে কি? মহিলাদের যে রাতে নিরাপত্তা নেই, সেটা নবান্নের ওই 4 তলায় বসে তিনি বলেই চলেছে? এরপর হয়তো এই রাজ্য সরকার আর বেশি দিন যদি রাজত্ব থাকে তাহলে বলে বসবেন যে,”দিনের বেলা তো হয়তো মহিলারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না” ।
আরো পড়ুন: আর জি কর হামলায় গ্রেফতার ২৪ জন
তবে যাই হোক বাংলার এবং বাঙালির উন্নতির জন্যে অবশ্যই এখন কলকাতার ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অর্থাৎ আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি চাই এবং এই নোংরা রাজ্য সরকারের যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব পতন চাই।