কিছুদিন আগে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের জল এর ফলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কেন্দ্র সরকারকে বেশ ভালোভাবেই তুলাখানা করেছেন রাজ্য সরকার। তারপরে আবার প্রায় মাঝেমধ্যেই রাজ্য কেন্দ্র সরকারের মধ্যে এই সমস্ত ব্যাপার নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। তার মধ্যে আবার এমন কাণ্ড। ওই বন্যাকে রাজ্য সরকার এক্কেবারে Man Maid Flood বা মানুষের বানানো বন্যা বলে দাগিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্র সরকারের ওপর।
তার উপরে আবার রাজ্যের মমতা ব্যানার্জি সরকার কেন্দ্রীয় মোদি সরকারকে অভিযোগ করে বলেছেন যে কেন্দ্র নাকি প্রায় 2 বছর ধরে আবার যোজনার প্রাপ 8200 কোটি টাকা আটকে রেখেছে। যদিও এই অভিযোগ আনার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করে দিয়েছিল যে কেন্দ্র থেকে সাহায্য না পেলেও আমরা রাজ্য সরকারি তহবিল থেকে আবার যোজনার কাজ সম্পন্ন করব। সেই কথাকে মূলত বাস্তবায়িত করার জন্য এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওই পথেই পা বাড়িয়ে দিল।
যদিও, শহরে আবাস যোজনায় বাংলার জন্য এখন 190 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর মাঝেও রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের দিকে অভিযোগ করেছে যে, রাজ্য সরকার নাকি বহুবার আবাস যোজনা টাকা বরাদ্দ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ করেনি। তাই মমতা ব্যানার্জি রাজ্য সরকার আর কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরে ভরসা করতে না পেরে গত বুধবার নবান্নে মোক্ষ সচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের সচিবদের সঙ্গে আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলার আবাস যোজনা’ রাখা হবে বলেও জানানো হয় সেই বৈঠকে।
এছাড়াও ঐদিনের জানানো হয়েছে যে, আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার জন্য পুনরায় আবেদনকারীদের নাম যাচাই করতে হবে। রাজ্যের Standered Operating Procedure অর্থাৎ SOP মেনেই যাচাইদের কাজ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক জেলা প্রশাসন কে। সেই SOP রাজ্য মন্ত্রিসভায় বৈঠকে পেশ করা হবে। তার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘বাংলার আবাস যোজনা’ র এই টাকা কবে পাবে আবেদনকারীরা ?
আগামী 21 অক্টোবর থেকে 30 অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ি সমীক্ষা করতে হবে। ক্রস চেকিংয়ের কাজ করতে হবে 14 নভেম্বর এর মধ্যে। সেই সমস্ত ডিটেইলস BDO, SDO, DM শাসকের অফিসের সামনে এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তালিকায় দেখানো হবে আগামী 21 থেকে 27 নভেম্বর তারিখে। যদি এই সংক্রান্ত তথ্যের উপর কোনো রকম অভিযোগ থাকে তাহলে এইমুহূর্তে সেখানে জানাতে পারবেন।
তারপর 13 ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাস্তরের কমিটি সেই তালিকার অনুমোদন দেবে। 20 ডিসেম্বর থেকে সমস্ত আবেদনকারীকে টাকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, একসঙ্গে এই পরিমাণ টাকা মিলবে না। মোট 3 কিস্তিতে মোট 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। এর ফলে প্রত্যেক এলাকার পরিবারের জন্য 1 লক্ষ 30 হাজার টাকাও দেওয়া হবে। চলতি 20 ডিসেম্বরের মধ্যে 11 লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে আবাসের প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এর পরে কিস্তিতে 40 হাজার টাকা দেওয়া হবে। আর শেষ কিস্তিতে দেওয়া হবে বাকি 20 হাজার টাকা।

Hello, I am Akash Mondal. I am working as a Bengali Senior Content Writer in ‘Sarkari Chakri’. I have an experience of 2 years on this Profession.Now I am trying to give my best effort on this Bengali news article site. Hope you like us. Feel free to leave a valuable comment and Star Mark for every news article Post. Thanks a lot for being with us.