sarkari chakri:

Primary Tet Scam: প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতি কাণ্ডে চলে যেতে পারে এই সকল শিক্ষকদের চাকরি

Primary Tet Scam: রাজ্যের শিক্ষা মহলে নতুন করে আবারও এক নতুন বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এই বিতর্কের মূল কারণ হলো যে – প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরিতে ভুয়ো বা নকল Employment Exchange Card এর ব্যবহার হয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই নতুন বিতর্কটা কিন্তু প্রথম নয়, এর আগেও 2009 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধদেব বসুর বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তখনো। তখনো দুর্নীতির বিষয়টা ছিল একদম একই, মানে তখনো সেই এখনকার মতোই নকল Employment Exchange Card এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা চাকরি পেয়েছিলেন। যেটা নিয়ে তখনও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল এবং এই নিয়ে আগে CID তদন্ত করায়, কিছু প্রমাণও উদ্ধার হয়েছিল। সেই কান্ড নিয়ে তখন উত্তর 24 পরগনা জেলার 26 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়।

আর চলতি বছরে এই নতুন বিতর্ক আবারও চলে আসায় কলকাতা হাইকোর্ট নতুন করে এই মামলাটি খতিয়ে দেখছে কিন্তু অবশ্যই এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা আবারো করা হয়ে গিয়েছে। কি বলছে কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে ? জেনে নিন সেগুলি ।

কলকাতা হাইকোর্ট কি নির্দেশ দিল এই বিষয়ে :

গত বৃহস্পতিবার নাগাদ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলাটির শুনানি হয়। সেখানে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে –

  • যে সমস্ত ব্যক্তিরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাদের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড পুনরায় যাচাইকরণ করতে হবে।
  • শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার কে আগামী 28শে জানুয়ারির মধ্যে আদালতে গিয়ে একটি মামলার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
  • এদিকে আবার CID তদন্তের বৃহত্তর জালিয়াতের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেই Special Investigation Team বা SIT গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • এই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করনের কাজ করতে হবে রাজ্যের 22টি জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলরদের।

Read More: এই বছর খারিফ মরশুমের শস্য বীমার টাকা কবে দেবে সরকার

ঠিক কেন এমন নির্দেশিকা জানালেও কলকাতা হাইকোর্ট ?

ওপরে উল্লেখিত মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র যে উত্তর 24 পরগনা জেলাতেই চাকরিপ্রার্থীরা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড এর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছে সেটা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলোতেও এরকমই ঘটনা চোখে পড়েছে। মূলত এই সমস্ত কারণের জন্যই শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নয় রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই এই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাইকরনের কাজ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের মধ্যে এক ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা 2009 সালে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি এখন বেশ একটা সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এই নিয়ে আবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন রকম মতামত প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় বিশেষজ্ঞদের মতামত :

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এই নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে আগামীতে। কিন্তু এটি অবশ্যই শিক্ষকদের মধ্যে এক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। আগামী 27শে জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সি আইডির প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ওই দিনেই জমা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষকদের দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের এই নতুন পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই নিয়ে আগামী 27শে জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট কি শুনানি দেয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

 সমস্ত সরকারি ও প্রাইভেট চাকরি, প্রকল্পের খবর পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন হন -

Leave a Comment