প্রাইমারি টেটের শুনানি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই: মাত্র দিন কয়েক আগেই 2016 সালের শিক্ষক নিয়োগ মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে রাজ্যের প্রায় 26 হাজার চাকরিজীবী তাদের চাকরি হারিয়েছেন। আপাতত সেই নিয়ে একদম জোরকদমে আন্দোলন করছে চাকরিহারা ব্যক্তিরা। WBSSC এর পর এবার প্রাইমারি টেটের দিকে নজর দিয়েছে হাইকোর্ট। এবার নজর 2017 সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে।
প্রাইমারি টেটের শুনানি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই
ইতিমধ্যেই বড়সড়ো অভিযোগ উঠেছে প্রাইমারি টেট নিয়ে। 2014,2016 তো বটেই, এর পাশাপাশি 2017 সালের প্রাইমারি নিয়োগ নিয়ে এই বিভ্রান্তিকর খবর জেনে ঘোমলো প্রাথমিক শিক্ষকদের।
2017 সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন নিয়ে মামলা করা হলো বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে। গত মঙ্গলবার এই মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে, আপাতত বিচারপতি মানথা একদিন সময় দিয়েছেন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। সত্যিই যদি প্রশ্নপত্রে ভুল থাকে তাহলে সকলকে ওই প্রশ্নের জন্য নম্বর দিতে হবে। সেই কারণেই প্রশ্নপত্রের ভুলের অভিযোগ আরো একবার যাচাই করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে বড় আপডেট
ইতিমধ্যে ২০১৭ সালের প্রাইমারি টেট নিয়ে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের গঠন করা কমিটি বিষয়টি দেখাশোনা করবে। হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল এর কাছে আগামী এক মাসের মধ্যে এই প্রসঙ্গে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ইতিপূর্বে ২০১৪ সালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভ্রান্তি থাকার কারণে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশ্নপত্র যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ছয়টি প্রশ্ন ভুল বেরিয়েছিল বলে খবর। ছ নম্বর দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। তবে ২০১৭ সালে একটি দুটি নয়, প্রশ্নপত্রে ২১ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ। বাংলা পরিবেশ বিদ্যার সহ তিনটি বিষয় রয়েছে এর মধ্যে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অর্থাৎ West Bengal Board Of Primary Education এর করা প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখা হবে। প্রথমে ভুল প্রশ্নগুলো চিহ্নিত করে তারপর পরীক্ষার্থীদের উত্তর মিলিয়ে নেওয়া হবে। সম্পূর্ণ কাজটি করবেন বিশেষজ্ঞ কমিটি। ইতিপূর্বে মামলাকারীদের আবেদন শুনে প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা। তিনি বলেছিলেন, “পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন (WBBPE Primary Tet 2017 Update) হয়ে ভুল প্রশ্ন আবিষ্কার করে সঠিক উত্তর দেবে?”তাই আপাতত ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে করা মামলায় বিশ্বভারতী কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং রিপোর্ট দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে সেই মামলার শুনানি। চাকরি নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা।
বিদ্র : প্রতিবেদনে উল্লেখিত সমস্ত তথ্য বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত করা হয়েছে।