রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প। আবেদন করলেই পেয়ে যাবেন প্রতি মাসে 7500 টাকা: ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার আবার একটি নতুন প্রকল্প মূলত রাজ্যের মেয়েদের জন্যই চালু করল, যার নাম দেওয়া হয়েছে সেবা সখি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে 20 জন করে মহিলাদের নিয়ে এই প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। কিন্তু কিভাবে এই কর্মসংস্থান হবে? এতে বেতনই বা বাকি থাকবে? ইত্যাদি সমস্ত বিষয়গুলি এখানে আলোচনা করা হবে আপনাদের সুবিধার্থে। তো আর দেরি না করে দেখে নিন প্রতিবেদনটা একদম শেষ অবধি।
রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প। আবেদন করলেই পেয়ে যাবেন প্রতি মাসে 7500 টাকা
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কি করা হবে:-
মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত অসুস্থ ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মানুষদের সঠিকভাবে পরিষেবা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের শুরুতে ট্রেনিং নিয়ে পরবর্তীকালে বিভিন্ন গ্রামীণ জীবিকা মিশন প্রযুক্তির অধীনে কাজ করতে হবে মহিলাদের। তবে এটাও ঠিক, সবার প্রথমে পুরো পশ্চিমবঙ্গেই যে প্রকল্প থেকে কর্মী নিয়োগ করা হবে সেটা কিন্তু নয়। এই প্রকল্প সবার আগে একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করা হবে, যার জন্য কিছু ব্লক কে চিহ্নিত করা হয়েছে শুরুতেই সেখান থেকে এই প্রজেক্ট চালু হবে এবং সেখানকার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে এটা আরো অন্যান্য সমস্ত ব্লক এ চালু করা হবে।।
এই প্রকল্প এখন কোন কোন ব্লকে চালু হতে পারে:- এই সেবা সখী প্রকল্প চালু হওয়ার ব্লকের তালিকায় সর্বপ্রথম রয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর, উত্তর 24 পরগনার রাজারহাট, হাওড়ার আমতা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লক। সবার আগে এই ব্লক গুলিকে চিহ্নিত করার পেছনে আরেকটি কারণও দেখা গেছে যে, এই সমস্ত শহরগুলিতে প্রচুর নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বসবাস করেন কিন্তু তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হলেও পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র যাওয়াতে তারা সর্বদাই একাকী থাকতে বাধ্য হন।। মূলত তার উদ্দেশ্যেই এইসব জায়গাতেই প্রথমে প্রকল্প চালু করা হবে।
সেবা সখি প্রকল্পের মাধ্যমে দৈনিক কি পরিমান ভাতা দেওয়া হবে:- এখনো পর্যন্ত যতদূর জানা গিয়েছে যে, এই প্রকল্পে গ্রামাঞ্চলগুলিতে ট্রেনিং চলাকালীন প্রতিদিন 250 টাকা এবং শহরাঞ্চলে ট্রেনিং চলাকালীন প্রতিদিন 300 টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।
এই প্রকল্প সমন্বিত বিশেষ কিছু তথ্য:- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেবা কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে ব্যবস্থা দেওয়া হবে এবং বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি, গ্রামীণ হাসপাতালে, পোলিও সেন্টারে এবং অন্যান্য জায়গায় গুলোতে তাদের কাজে ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম প্রাথমিক চিকিৎসা করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে মহিলাদের। যেমন রোগীকে সঠিক ভাবে ওষুধ দেওয়া, ব্লাড প্রেসার মাপা, ড্রেসিং করা, ব্যান্ডেজ করা ইত্যাদি। পরবর্তীকালে ট্রেনিং সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এই সার্টিফিকেটের মূল উদ্দেশ্য হলো, যাতে পরবর্তীকালে তারা কোন বেসরকারি সংস্থা কাজ করতে গিয়েও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত করল পর্ষদ