প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদে কর্মী নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করল পর্ষদ: প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের ছাড়পত্র মিলতেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করল। 9533 জন নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করেছে পর্ষদ। এবারে সফল হওয়া প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেকআপ বা বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছভাবে নিয়োগের জন্যই এটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদে কর্মী নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করল পর্ষদ
এখানে শূন্য পদ ছিল 11,765টি। এর মধ্যে আপাতত এখন 9533টি পদ পুরন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই শিক্ষকদেরকে স্কুলে নিয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। আর মাত্র কিছুদিনের পর থেকেই জেলা থেকে নিয়োগপত্র (Primary Teacher Recruitment) তুলে দেয়া হবে।
পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, যেহেতু 11,758টি শূন্যপদ ছিল। কিন্তু তার মধ্যে এখন 9533 জনেরই নাম নির্বাচিত হয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে। বাকি 2000 এরও বেশি শূন্যপদে এখনই কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। এই শূন্য পদ নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই সম্ভব হবে।
এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, 11,758টি শূন্য পদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। আমরা প্যানেলও প্রকাশ করেছিলাম। রাজ্যব্যাপী প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের জন্য এই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সংখ্যাটা 9533 জন। বাকি থাকছে 2,225 জন। সুপ্রিমকোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে যখনই রায় বেরোবে তখনই বাকিদের নম্বর দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) এর সভাপতি গৌতম পাল বলেন যে, 2225 জন বাকি থাকছেন। তাদেরকে এখন নিয়োগ করা হবে না। এখন যে নিয়োগগুলি হবে তা Subject to the Outcome of the Present Petitions সুপ্রিম কোর্টের। এর পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে যে শুনানি হবে, 2020-22 D.el.ed ব্যাচের। তার প্রেক্ষিতে যে রায় বেরোবে তখন এই 2225 জনকে নিয়োগ পত্র দিতে পারব। পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে খুশির খবর শুনিয়েছেন সভাপতি গৌতম পাল। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, আগামী এক সপ্তাহ অর্থাৎ সাধ্যের মধ্যে চাকরি পার্থক্যের হাতে নিয়োগপত্র পৌঁছে যাবি এবং এই প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
আরও পড়ুন: Government Budget 2024