স্কুল শিক্ষকদের ফাঁকি মারার দিন শেষ: স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আরাম করে কাজ করার দিন শেষ। কপালে চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের।
স্কুলে ক্লাসে পঠন পাঠন, ডিউটিতে ফাঁকি ইত্যাদি আটকাতে কড়া নোটিশ জারি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের। এমনিতেই রাজ্যে একটানা দীর্ঘদিন গ্রীষ্মের ছুটি, লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা উপনির্বাচনের কারণে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে পড়াশোনার বেহাল দশা।
রাজ্যের সমস্ত সরকারী স্কুলে এখন চুলোয় উঠেছে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা। এগিয়ে আসছে রাজ্যে নতুনভাবে চালু হওয়া একাদশ দ্বাদশের সেমেস্টার পরীক্ষা। এবার থেকে যাতে ক্লাস মিস না হয়, তারজন্য জেলায় জেলায় স্কুলে স্কুলে নোটিশ পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
সূত্রের খবর, অনেক সময়ই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাসের সময়ে অফিশিয়াল কোনও কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যার কারণে নষ্ট হয় সংশ্লিষ্ট ক্লাস। এই বিষয়ে দেখার জন্য স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে চিঠি পাঠানো রাজ্যের হেডমাস্টার এন্ড হেডমিস্ট্রেস এর সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষকের ওপর নজরদারি চালানো হেড টিচারের পক্ষে সম্ভব নয়, তা জেলা স্কুল পরিদর্শক কেই বিষয়টি দেখতে হবে বলে জানানো হয়।
পঠন পাঠনের সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা অ্যাকাডেমিক বা অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে আখেরে ছাত্র ছাত্রীদেরই লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কড়া নির্দেশ, সরকারি কোনও কার্যকলাপ যেমন ইলেকশন, মিটিং ছাড়া শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাসের সময়ে ফাঁকি দিয়ে ছুটি নিতে পারবেন না।
একান্তই ছুটির প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকা কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা স্কুল পরিচালন কমিটির বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও উক্ত শিক্ষক বা শিক্ষিকার বেতনের সময় পঠন পাঠন চলাকালীন কি কারণে ছুটি নিয়েছেন সেটিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
Good 👍🏻😊