EWS সার্টিফিকেট সমন্ধে বিস্তারিত বিবরণ: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে EWS সার্টিফিকেট দেওয়ার পদ্ধতিতে একটা বেশ বড় বদল নিয়ে আসা হলো। এবার থেকে যে সমস্ত ওবিসি এর অন্তর্গত ব্যক্তিরা যারা জেনারেল নয় তারা ও কিন্তু এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য EWS শংসাপত্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে।
EWS সার্টিফিকেট কী ?
EWS সার্টিফিকেট এর পুরো কথাটি হল Economical Weaker Section , যার বাংলা অর্থ হলো ‘অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ’ । রাজ্যের সমস্ত অর্থনৈতিক অনগ্রসর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত মানুষদের জন্য এই সার্টিফিকেট চালু করা হয়েছিল।
কি কি সুবিধা পাওয়া যায় এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে?
রাজ্য সরকারের এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ব্যক্তিরা সরকারি সমস্ত ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে 10% সংরক্ষণ পেয়ে থাকেন। এছাড়া আর কিছু বিশেষ সুবিধা নেই এই সার্টিফিকেটের।
EWS সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন পদ্ধতি :
এই সার্টিফিকেট আবেদনকারীকে অফলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। তার জন্য সবার আগে ইন্টারনেট থেকে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করেছে কে পূরণ করতে হবে। দিয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ডকুমেন্টস এর জেরক্স কপি এবং পূরণ করা ফর্ম অফিসে গিয়ে জমা করে আসতে হবে।
কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন এই EWS সার্টিফিকেট বানানোর জন্য :
যে সমস্ত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর ব্যক্তিরা ভাবছেন এই সার্টিফিকেট বানাবেন, তাদেরকে আবেদনের জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে । সেগুলি হলো –
- আধার কার্ড
- ভোটার কার্ড
- প্যান কার্ড
- মাধ্যমিকের অ্যাডমিট
- বাসিন্দা সার্টিফিকেট
- সম্পত্তির দলিল
- সব ঘোষণাপত্র
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কাস্ট সার্টিফিকেট
- মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।
কারা কারা এই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন :-
এই EWS সার্টিফিকেটে আবেদন জানানোর জন্য সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু শর্ত বলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হলো –
- আবেদনকারী ব্যক্তির পারিবারিক বার্ষিক আয় 4 লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
- আবেদনকারীকে সাধারণ শ্রেণীর অন্তর্গত হতে হবে।
- শহরাঞ্চলে আবাসিক ফ্ল্যাট 1000 বর্গফুটে কম থাকা প্রয়োজন।
- গ্রামাঞ্চলে 200 বর্গফুটের কম থাকতে হবে বাড়ির জায়গা।
- পরিবারের 5 একরের কম চাষের জমি হতে হবে।
ওপরে উল্লেখিত সমস্ত তথ্য গুলি মেনে আপনারা যদি এই EWS সার্টিফিকেটে আবেদন করেন, তাহলে অবশ্যই সেটি হবেই হবে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনদি থেকে যদি সামান্যতম হলেও আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে সেটাকে নিজের কাছে সীমাবদ্ধ না রেখে অবশ্যই শেয়ার করে দেবেন আপনার পরিবারের, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে।