প্রাইমারিতে খুব শীঘ্রই ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার প্যানেল প্রকাশে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সবুজ সংকেত দিল। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত শিক্ষক প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দিল। দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা চলছিল এবং সুপ্রিমকোর্টে নির্দেশে আটকে ছিল সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেলার ফলে একাধারে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।
দীর্ঘ অবসানের পর প্রাইমারিতে খুব শীঘ্রই ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগে 11,765 জনের তালিকা প্রস্তুত করে ফেলেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।এমনকি নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং, ইন্টারভিউ সহ একাধিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। তবে মামলা সংক্রান্ত কারণে নিয়োগ এতদিন আটকে ছিল।
2022 সালে সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রায় 12 হাজার প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রার্থী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পর্ষদের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় পর্ষদের দাবিকে মান্যতা দেন।
তবে 2023 সালের হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই নির্দেশ খারিজ করে দেয়।এদিকে, সুপ্রিম কোর্টও আগে জানিয়েছিল, এই নিয়োগে বিএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা আবেদন করতে পারবেন না। এই নিয়োগের জন্য ডিএলএড প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক।
তবে 2014 সালের সময় এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী, আবেদন করার জন্য ডিএড থাকা বাধ্যতামূলক ছিল না।ফলত 2014-র টেট উত্তীর্ণেরা 2020 সালে ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হন এবং পরবর্তীকালে 2022 এর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে তাঁরা মার্কশিট হাতে পাননি। সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।তবে, গতকাল জট কাটার ফলে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীরা এবার খুব তাড়াতাড়িই নিয়োগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্থগিতাদেশ তুলে নেন বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ। এর ফলে রাজ্যের প্যানেল প্রকাশেও বাধা থাকল না। এই মামলা সংক্রান্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাকেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ১২ হাজার শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি