গ্রাম পঞ্চায়েত পরীক্ষা প্রস্তুতি: রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে কিছুদিন আগে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। সেখানে ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক আবেদনকারী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নিয়েছে। এই নিয়োগের পরীক্ষাটি খুব শীঘ্রই হতে চলেছে রাজ্য সরকারের অধীনে, যেখানে মোট শূন্যপদ রয়েছে 6652টি। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এখনো এই পরীক্ষা কবে হবে তার নির্দিষ্ট কোনদিন দেওয়া হয়নি ।
গ্রাম পঞ্চায়েত পরীক্ষা প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন
তবে যতদূর জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে এই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে । আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এইখানে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন তারা পরীক্ষা প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন? কোন কোন বিষয়ে পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে এবং পরীক্ষা সিলেবাস কি হতে হবে? ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। যাতে এই পরীক্ষায় আপনারা প্রথমবারই উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিটি পেতে পারেন।
গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে চাকরি বিজ্ঞপ্তিটি বেরিয়েছিল, সেখানে রাজ্যের প্রায় 70% শিক্ষিত চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন। তাই এই নিয়োগের পরীক্ষাতে কম্পিটিশন লেভেল টা অত্যন্ত ভয়ংকর হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি তে কর্মী নিয়োগ
কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন এই পরীক্ষার?
এই পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমরা ধাপে ধাপে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি, যেটা পরীক্ষায় প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনাদের বিশেষ সাহায্য করবে। সেই সমস্ত তথ্য গুলি হল –
- সরকারি চাকরি পেতে হলে চাকরি প্রার্থীদের অবশ্যই সময়ের মূল্য দিতে হবে।
- চাকরিপ্রার্থীদের এখানে হাতে সময় রয়েছে মাত্র 6 থেকে 8 মাস।
- পূর্ববর্তী বছরগুলিতে এই পরীক্ষাতে কি রকম ধরনের প্রশ্ন এসেছিল সেটা চাকরিপ্রার্থীদের জেনে নিতে হবে।
- পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অবশ্যই সিলেবাস থেকে প্রস্তুতি নেবেন। সিলেবাসের মধ্যে কোন বিষয় যদি আপনি পিছিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা বেশি করে পড়তে হবে।
- আমরা আমাদের অন্য একটা ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এই পরীক্ষা সমন্বিত বিভিন্ন রকম প্র্যাকটিস সেট, মক টেস্ট, কুইজ ইত্যাদি দিচ্ছি । সেগুলো দেখে নিলে না পরীক্ষার প্রস্তুতি ক্ষেত্রে এগুলো অনেক কাজে লাগবে।
- গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে পরীক্ষার জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অবশ্যই ভালো করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
- পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে 2 থেকে 3 মাস প্র্যাকটিস সেট, মক টেস্ট, কারেন্ট অ্যাফেয়ার কুইজ ইত্যাদি ভালো করে দেখে নিতে হবে।
- সরকারি চাকরি পেতে হলে প্রতিদিন আপনাকে 7 থেকে 8 ঘন্টা পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য সময় বার করতে হবে।
- যেহেতু আমাদের রাজ্যে চাকরির অবস্থা খুবই খারাপ, তার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতও পরীক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি:-
১) প্রার্থীদের এখানে ১০০ নম্বরের তিনটি পরীক্ষা দিতে হবে।
২) সর্বপ্রথম একটি ৮৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে।
৩) তারপর কম্পিউটারের টেস্ট ৫ নম্বরের হবে।
৪) সর্বশেষে ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ হবে যোগ্য প্রার্থীদের।
লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস
বাংলা – ২৫
ইংরেজি – ২৫
অংক – ২৫
সাধারণ জ্ঞান – ১০
গ্রাম পঞ্চায়েত পরীক্ষার বই : পশ্চিমবঙ্গের সকল চাকরিপ্রার্থীকে জানাবো যে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। আপনারা সঠিক এবং ভালো দুই থেকে তিনটি বই সংগ্রহ করবেন। কারণ একটি বই পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই চাকরি পেতে হলে অবশ্যই একটু কষ্ট করে, পরিশ্রম করে সফল হওয়ার জন্য বইগুলি সংগ্রহ করে পড়ুন। প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস সেট গুলি আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে সেগুলি নজর রাখুন।
গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যে সমস্ত পদে জেলাভিত্তিক নিয়োগ করা হবে চাকরি প্রার্থীদের এই সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে নিজের এলাকায় চাকরি করতে। তাই আর সময় নষ্ট না করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন। যে সমস্ত প্রার্থী গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে আবেদন করেছেন তাদের পক্ষে আজকের এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী নিয়োগ