PM Pranam Yojana:- সমস্ত ধরনের অর্থাগমের পথগুলির কৃষি হলো, এমন একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন দেশের সমস্ত ধরনের মানুষরায় করতে পারে। তারজন্য দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতির পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন ও একান্ত জরুরি। সেই উদ্দেশ্যে এই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় কৃষি ব্যবস্থাকে উন্নত করার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পর সূচনা করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি সবচেয়ে প্রচলিত প্রকল্প হল ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প‘।
PM Pranam Yojana
এখন বর্তমানে কৃষির মাধ্যমে কিভাবে কৃষকরা ফল ও ফুলের গুণমান এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করে নিজেদের আয় কে বৃদ্ধি করবে, তার দিকে নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে প্রধানত জৈব সারের (Judicious Utilisation of Fertilizers) মাধ্যমে কৃষি কাজে লাগানো। কেননা বহুদিন ধরে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা বেশ অনেকটাই কমেছে ।
তার ফলে জমিতে একদিকে যেমন লবণের পরিমাণও বেড়েছে আবার ভূমিক্ষয় বাড়ছে এবং যার প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব পড়ছে ফসলের উৎপাদনের ওপর। এই সমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকারি তরফ থেকে কৃষকদের জন্য আনা হলো এই নতুন প্রকল্প, যার নাম দেওয়া হয়েছে PM PRANAM Yojna বা PM Promotion of Alternate Nutrients of Agriculture Management Yojana ।
এবার সবার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কি এই পিএম প্রণাম যোজনা? তার জন্যই আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানাবো যে, পিএম প্রণাম যোজনা আসলে কি? এই যোজনার উদ্দেশ্য কি? এই দুজনের মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? কারা কারা এই যোজনা সুবিধা নিতে পারবে? ইত্যাদি সমস্ত বিষয়। অতএব, আপনি যদি একজন কৃষক হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাহলে এবার দেখে নিন এই সমস্ত বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে –
পিএম প্রণাম যোজনা কি?
কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের উদ্যোগে প্রধানত দেশের সমস্ত ছোট বড় কৃষকদের জন্য তাদের কৃষি জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রধানত জৈব সারের ব্যবহার করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকেই বলা হচ্ছে “প্রধানমন্ত্রী প্রণাম যোজনা” ।
আরও পড়ুন:- এখন বাড়িতে বসেই আবেদন করুন ডিজিটাল PVC আধার কার্ড
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কি?
কেন্দ্র সরকারের এই নতুন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলতে গেলে সেটা হল কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সারের ব্যবহার কমানো। জমিতে উপযুক্ত এবং পরিমাণ মতো 4 ব্যবহার করার বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা এবং এই লক্ষ্যের সাবসিটি দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কৃষি জমি তৈরি করা। যাতে কৃষিজমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম হয় তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল প্রায় 1.62 লক্ষ্য কোটি টাকা। এবং গত বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 2.35 লক্ষ্য কোটি টাকা, যেটা আগের থেকে প্রায়ই 39% বেরিয়েছে।
এই প্রকল্পের সুবিধা কি?
রাসায়নিক সারের পরিবর্তে অন্য বিকল্প সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রধানত এখানে জৈব সারের কথাই বলা হচ্ছে। এইজন্য রাজ্যকে যে ফান্ড দেওয়া হবে তার মধ্যে 70% বিকল্প সার উৎপাদনে এবং সেটাকে ব্যবহারের এলাকা বৃদ্ধি করার জন্য ব্যয় করা হবে। আর যে বাকি 30% রয়েছে সেটাকে কৃষক, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সেল্ফ হেল্প গ্রুপ গুলিতে বিকল্প সরে ব্যবহার করার জন্য ফিল্ম হেল্প গ্রুপ গুলিতে বিকল্প স্যারের ব্যবহার উৎসাহিত করার উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে।
প্রধানত গ্রামীণ স্তর পর্যন্ত এই প্রকল্প বিস্তৃত হবে অর্থাৎ এই প্রকল্প শুধুমাত্র পঞ্চায়েত স্তরের এলাকার জন্য গ্রাহ্য হবে। 3 বছর ধরে কাজের পর্যালোচনা করা হবে এবং Integrated Fertilizer Management System এর মাধ্যমে দেখা হবে স্যারের ব্যবহার কেমন হচ্ছে। অ্যামোনিয়াম ফসফেট, ইউরিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সারের ব্যবহার 2017-18 সালের তুলনায় 2021-22 সালে প্রায় 21% বৃদ্ধি পেয়েছে। অতএব স্বাভাবিকভাবেই বিকল্প ছাড়ে ব্যবহার জোর দেওয়া হচ্ছে তার জন্য।
2022-23 সালে এর জন্য প্রায় 1.05 লক্ষ্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে 2.25 লক্ষ্য কোটি টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। এখন শুধুমাত্র দেখার অপেক্ষা কেন্দ্র সরকারের এই নতুন প্রকল্প কতটা সাফল্যমন্ডিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- UPI Scam 2024: জালিয়াতি রুখতে UPI নিয়ে এলো কয়েকটি বিশেষ নিয়ম