SSC পরীক্ষায় বিরাট বদল: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দ্বারা পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াতে বড়সড়ো বদলে সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। জানা গিয়েছে যে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পাঠাতে হয়েছে। যেটা মূলত পদ্ধতি ও নম্বর বিভাজন কেমন হবে সেই সম্পর্কে একটি স্পষ্ট দিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
SSC পরীক্ষায় বিরাট বদল আনলো সরকার
সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ SAQ এবং বিশ্লেষণ ধর্মী না হয়ে MCQ ধর্মী হওয়া উচিত। পরীক্ষার ক্ষেত্রে OMR শিট ব্যবহার করা যেতে পারে। পরীক্ষার পর OMR শীটের কার্বন কপি পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও পরামর্শ জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে বলে দাবি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।এতদিন পর্যন্ত 300 নম্বরের সাবজেক্টিভ পরীক্ষা নেওয়া হতো স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে।
নতুনভাবে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা বাতিল করে মোট ৯০ নম্বরের MCQ ভিত্তিক OMR বেসড পরীক্ষা আয়োজন করা যেতে পারে। নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি লাগু হলে অল্প সময়ে অনেক সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। ফলাফল প্রকাশ এবং মেধা তালিকা তৈরি করার ক্ষেত্রেও দ্রুততা আসবে। এর ফলে অল্প সময়ের স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
আরও পড়ুন: গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৩ জেলা থেকে আবেদন শুরু
সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক সহ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এবার স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া আয়োজন করতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এই বিষয়ে এসএসসির এক কর্তা জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল গুলির জন্য শিক্ষক নিয়োগে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। এ বিষয়ে তারা অস্বীকার করতে পারেন না। ফলে শিক্ষক নিয়োগ গাড়ি সংস্থা হিসেবে প্রাথমিক বোর্ডও এসএসসি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কিছুটা হারিয়েছে।যদি নতুন পদ্ধতিতে OMR সিট পাঠানো হয় তাহলে OMR শীটের কার্বন কপি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হলে নিয়োগের স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে পর্ষদের তরফ থেকে। এখন শুধুমাত্র দেখার অপেক্ষা যে, পর্ষদের এই কাজ কতটা সাফল্যমন্ডিত হচ্ছে।