কন্যাশ্রী প্রকল্প কারা পাবে, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সুবিধা কি কি আছে

কন্যাশ্রী প্রকল্প কারা পাবে : ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া কম বয়সী মেয়েদের ১৯ বছর পর বিয়ের বয়সী হলে ২৫০০০ টাকা দিয়ে আর্থিকভাবে সাহায্য করা। এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১৮ লক্ষ মেয়ে শিক্ষার্থী বার্ষিক বৃত্তি পেয়ে থাকে।

Join Our WhatsApp Group
Join Our Telegram channel
Visit Exam Preparation
Join Our Facebook Group

কন্যাশ্রী প্রকল্প 2024

কন্যাশ্রী প্রকল্প কারা পাবে, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সুবিধা কি কি আছে
কন্যাশ্রী প্রকল্প কারা পাবে

কন্যাশ্রী প্রকল্প হলো রাজ্য সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্প, রাজ্যের মেয়েরা বিয়ের বয়সের আগে পর্যন্ত অর্থাৎ যাতে মেয়েরা তাদের পড়াশোনা চালাতে পারে সেই কারণেই এই কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। 18 থেকে 19 বছর বয়সী মেয়েরা বিয়ের বয়সী হলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি হিসেবে পাবে।

পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমে গিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মেয়ের পড়াশোনার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পারিবারিক অভাবের কারণে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে এবং অল্প বয়সে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। District Level Household and Facilities Servey 3 এর সমীক্ষা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে শিশু কন্যা বিবাহের স্থান পঞ্চম। তবে এই শিশু কন্যা বিবাহ শহরে তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এর প্রবণতার হার বেশি।

কন্যাশ্রী প্রকল্প কারা পাবে:

01.প্রথমত এই প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করতে হবে। অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে।
02. পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রীদের বয়স ১৪ বছরের বেশি তারা এই প্রকল্পতে আবেদন করতে পারবে। অর্থাৎ যে সমস্ত মেয়েরা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অষ্টম শ্রেণী থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করছে তারা এখানে আবেদন জানাতে পারবে।

কন্যাশ্রী প্রকল্প K1: 01. ২০১৩ সালে যখন কন্যাশ্রী প্রকল্প দেওয়ার ঘোষণা করা হয় তখন সেই বৃত্তির পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা। কিন্তু এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা। এই বৃত্তি দেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য হল বিয়ের চিন্তাভাবনা থেকে সরে এসে মেয়েরা যাতে স্কুলে পড়াশোনা করে ।
02. প্রথমত যে সমস্ত মেয়েদের বয়স ১৩ বছর থেকে ১৮ বছরের মধ্যে অর্থাৎ যে সমস্ত মেয়েরা অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করছে তাদের জন্য এই স্কলারশিপ। বলা বাহুল্য মেয়েরা অবশ্যই অবিবাহিত থাকতে হবে তবেই এই বৃত্তি পাওয়া যাবে।

03. যে সমস্ত কন্যা সন্তানের পরিবারের বার্ষিক আয় ১,২০,০০০ টাকার নিচে তারাই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র সরকার নিয়ে এলো মহিলাদের জন্য চারটি বিশেষ প্রকল্প

কন্যাশ্রী প্রকল্প K2 : যদি মেয়ে শিক্ষার্থী 19 বছর পর অবিবাহিত এবং উচ্চ শিক্ষায় নিযুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে এককালীন ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই শিক্ষার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে।

কন্যাশ্রী প্রকল্প K3 : উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পরেও গ্রাজুয়েশন স্তরে যারা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য এই স্কলারশিপ মূলত দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হয়। অর্থাৎ স্নাতক স্তরে যে সমস্ত মেয়েরা বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছে তাদের প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। বাণিজ্য এবং কলা বিভাগের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপটি কেবলমাত্র যে সমস্ত মেয়েরা পড়াশোনা করছে তারাই পাবে।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস : ছাত্রীর আধার কার্ড, জন্ম সার্টিফিকেট, ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পাতা, পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র, কন্যার অবিবাহিত হওয়ার ঘোষণা পত্র এবং তার নিচে স্বাক্ষর থাকতে হবে পরিবারে প্রধান সদস্যের । পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং স্কুল সার্টিফিকেট প্রমাণ পত্র।

কন্যাশ্রী প্রকল্প ২০২৪ আবেদন পদ্ধতি :

  1. এই প্রকল্প আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের প্রথমে একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টটি যেন প্রার্থীর নিজস্ব একাউন্ট হয়।
  2. প্রার্থীকে স্কুল থেকে একটি ফর্ম তুলতে হবে, তারপর সেই আবেদন পত্রটিকে সুন্দরভাবে পূরণ করে তার সঙ্গে প্রার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং স্কুলের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে আবেদন পত্রটিকে পূরণ করতে হবে।
  3. তারপর গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ওই আবেদন পত্রটির সঙ্গে যুক্ত করে তার সঙ্গে প্রার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ফটো যুক্ত করে স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
  4. আবেদন পত্রটি জমা দেওয়ার পর প্রধান শিক্ষক একটি রশিদ হিসাবে ফরম এর তিন নাম্বার পাতাটি স্বাক্ষর ও স্কুল স্ট্যাম্প করে Acknowledgement Slip আবেদন প্রার্থীকে দিয়ে দেবে।

আরও পড়ুন: লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে এই মাস থেকে ঢুকবে ১,০০০ টাকা

Leave a Comment