Bank Loan:- এখনকার দিনে ঋণ বা লোন নেওয়া খুবই সহজ একটা ব্যাপার। এখন শুধু ব্যাংক নয়, বিভিন্ন কোম্পানি এবং নানারকম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে ব্যক্তিগত লোন দেওয়া হয়। লোন বা ঋণ নেওয়া যতটা সহজ মনে হয় সেটা পরিশোধ করতে ততটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ জনগণকে। মোবাইল অ্যাপ বা বিভিন্ন রকম কোম্পানির কাছ থেকে যেসব ব্যক্তিগত লোন আপনার নিয়ে থাকেন সেখানে সুদের হার অত্যন্ত বেশি এবং EMIও বেশ অনেকটাই বেশি। এমন পরিস্থিতিতে লোন নেওয়ার আগে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত অবশ্যই। এটি আপনাকে লোনের ফাঁদ থেকে বাঁচাতে পারে। তাহলে আসুন দেখে নিন, লোন নেওয়ার আগে কোন কোন বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রেখে লোন নেওয়া উচিত।
Bank Loan
1.কেন এবং কত টাকা লোন বা ঋণ প্রয়োজন?
পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া সময় আপনাকে অব্যশই মাথায় রাখতে হবে যে কত টাকা আপনার ঋণ নেওয়ার দরকার। যদি আপনার খুব কম পরিমাণ টাকার দরকার হয়, তাহলে আপনাকে অব্যশই একবার আপনার পরিবারের অন্য কারো কাছে বা বন্ধুদের কাছে টাকা ধার করলে হয়তো ভালো হয়। আজকাল লোন সহযোগী তাই অনেকের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লোন নিয়ে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে যে আপনি যদি বেশি টাকা ধার করবেন, তত বেশি আপনাকে সুদ দিতে হবে। সাধারণত ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর জন্য এই লোন নেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি একজন বেতনভোগী কর্মচারী হন এবং আপনার ক্রেডিট কোর তৈরি করার জন্য বা এটি শক্তিশালী করার জন্য লোন নিচ্ছেন তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই ।
2.কত বছরের জন্য লোন নিচ্ছেন?
ব্যক্তিগত লোন নেওয়ার সময়, আপনি যে সময়ের জন্য লোন নিচ্ছেন তাও মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি লনির মেয়াদ কম রাখেন, তাহলে আপনার কিস্তি বা EMI বাড়বে এবং আপনাকে কম সুদ দিতে হবে। সেখানে দীর্ঘসময়ের জন্য লোন নেওয়ার অর্থ হল আপনার কিস্তি সংখ্যাও কমে যাবে কিন্তু আপনাকে আরো বেশি সুদ দিতে হবে। এসব চিন্তা করেই যে কোন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে নেওয়া উচিত।
3.সুদের হার এবং প্রসেসিং ফি অবশ্যই চেক করুন –
আপনার এমন একজন ফাইন্যান্স বা কোম্পানির কাছ থেকে লোন নেওয়া উচিত যার সুদের হার সবথেকে কম এবং লোন নেওয়ার পদ্ধতিও অত্যন্ত সহজবোধ্য। এছাড়াও ব্যক্তিগত লোন Processing Fee, Late Payment Charge, Pre-Penaltyc ইত্যাদি সম্পর্কেও সম্পূর্ণ জেনে নেওয়া উচিত।
ব্যক্তিগত লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কোন কোন দিক যাচাই করে দেখে ?
1.ব্যাংকে বা যেকোনো সংস্থায় পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত লোন এর জন্য আবেদন করলে আবেদনকারী কি কারণে লোন চাইছেন সেটা অবশ্যই জানতে চাইবে তারা। তাই লোন নেওয়ার কারণটি আবেদনপত্রে উল্লেখ করা অবশ্যই দরকার।
2.বয়স, আয় ও ক্রেডিট স্কোর ইত্যাদি দেখে ব্যাংক জনগণকে লোন প্রদান করে থাকে। যদি কোনো ব্যক্তি মাসিক 30,000 টাকা আয় করেন এবং সেই ব্যক্তির বয়স যদি 21 থেকে 60 বছরের মধ্যে হয়। সেক্ষেত্রে ব্যাংক গ্রাহকের লোন শোধের সম্ভাবনা দেখে লোন প্রদান করে থাকে।
আরও পড়ুন:- অটল পেনশন যোজনা তে পাবেন প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা
ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নে উল্লেখিত এই চারটি জিনিস অবশ্যই মাথায় রেখে লোন নেবেন, তাহলে সামান্য পরিমাণ হলেও লাভবান থাকবেন।
এখন বেশিরভাগ ব্যক্তিই ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল লোন বেশি নিয়ে থাকেন, কারণ তাদের নানা ক্ষেত্রে অর্থে প্রয়োজন হয়ে থাকে। একটা হিসেবে দেখা গেছে, গত 10 বছরে ব্যক্তিগত লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেশ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আপনি যদি ব্যক্তিগত লোন নিয়ে থাকেন এবং টাকা গুছিয়ে রাখার পর এখন সময়ের আগে তা পরিশোধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাহলে কিছু বিষয়ে অবশ্যই আপনার জানা দরকার। যেগুলি জানা থাকলে অবশ্যই আপনারা উপকৃত হবেন । সেগুলি হল –
1.লোন চুক্তি দেখে নিন:- আপনি ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল লোন নিলে, আপনার এবং ব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি থাকে। যেমন ধরুন, Pre Payment Penalty শুধুমাত্র লোনের প্রাথমিক বছরের মধ্যে প্রযোজ্য হতে পারে। এখন লোন চুক্তি বুঝে, আপনি জরিমানা পরিশোধ এড়াতে পারেন।
2.জরিমানার পরিমাণ জানুন:- ব্যক্তিগত লোনির জন্য প্রি পেমেন্ট পেনাল্টির পরিমাণ ব্যাংক এবং লোনের শর্তাবলির উপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণত, এটি বকেয়া পরিমাণের 1% থেকে 5% পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি ফ্ল্যাট ফি হতে পারে।
3.সঠিক সময় বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:- আপনি যদি ব্যক্তিগত লনের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যেই পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে প্রি পেমেন্ট খুব একটা সুবিধা হবে না আপনার ক্ষেত্রে। কারণ আপনি লোনের কিস্তি বা EMI সহ অনেক সুদ এর মধ্যে পরিশোধ করেছেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনি শুধুমাত্র অর্ধেকের কম EMI প্রদান করলেই প্রি পেমেন্টের সুবিধা পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:- PM Kishan Yojana: পিএম কিষান যোজনাতে এরপর কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে?