২৫০০০ জনের চাকরি বাতিল করলো হাইকোর্ট, ২০১৬ এর সমস্ত প্যানেল বাতিল

২৫০০০ জনের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট: বর্তমানে লোকসভা ভোট এখন শুরু হয়ে গেছে।। আর সেই সময়ই স্টাফ সিলেকশন কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়ে দিল বড়োসড় রায়। 2016 সালের বিতর্কিত প্যানেল খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে চাকরি হারালেন রাজ্যের প্রায় 25,753 জন চাকুরীজীবী ।

Join Our WhatsApp Group
Join Our Telegram channel
Visit Exam Preparation
Join Our Facebook Group

২৫০০০ জনের চাকরি বাতিল করলো হাইকোর্ট

২৫০০০ জনের চাকরি বাতিল করলো হাইকোর্ট, ২০১৬ এর সমস্ত প্যানেল বাতিল
২৫০০০ জনের চাকরি বাতিল করলো হাইকোর্ট

চাকরি হারানো ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সুদসহ সমস্ত বেতন তাদেরকে ফেরত দিতে হবে DI এবং জেলা শাসকদের মারফতি বেতন ফেরত হবে চাকরি হারাদের। সোমবার অর্থাৎ আজকে নির্ধারিত সময়মতো সকাল দশটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক SSC মামলার রায় পড়তে শুরু করেন। 281 পাতায় তৈরি রায়ে মোট 370টি অনুচ্ছেদ আছে। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা গ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।

তিনি জানান 2016 সালের বিতর্কিত গোটা প্যানেলই খারিজ করা হবে। যার ফলে রাজ্যের 25,753 জন চাকরিজীবী চাকরি হারাবেন। যার মধ্যে শুধুমাত্র সোমা দাস নামে এক চাকরি প্রাপকের চাকরি কেড়ে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। কারন হিসেবে জানানো হয়েছে যে, তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, মানবিক কারণে তার চাকরি বহাল রেখেছে আদালত।

আরও পড়ুন: UPSC Results 2024

চাকরি হারাদের প্রত্যেককে তাদের যত পরিমাণ বেতন পেয়েছিলেন, তার পুরোটাই সুদ সহ ফেরত দিতে হবে। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের বার্ষিক 12% হারে সুদ দিতে হবে। সেটা আগামী 4 সপ্তাহের মধ্যে এই বেতন ফেরাতে হবে। 6 সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসকদের। পাশাপাশি CBI নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে দুর্নীতিগ্রস্তদের হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

SSC কে আদালতের নির্দেশ, যে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র এসএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি, সেগুলি দ্রুত আপলোড করতে হবে। উত্তরপত্র যাতে সকলে দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওএমআর প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইসার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। হাই কোর্টের মতে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের পরে সমস্ত নিয়োগই অবৈধ।

আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিজিৎ,কে এই অভিজিৎ জানুন বিস্তারিত

Leave a Comment